বিভিন্ন পিটিসি (ক্লিক সাইট) প্রতি ক্লিকে ইনকাম দিত এই রকম ভুয়া সাইটে অনেকেই সময় নষ্ট করেছেন। এখন অনেক পিটিসি সাইটে তাদের প্লানে পরিবর্তন এনেছে। এখন বিভিন্ন ক্লিক সাইডে ইনভেষ্ট করার মাধ্যমে বিভিন্ন টাইপের কয়েন পাবেন এবং আপনাকে প্রতি ক্লিক এর মাধ্যমে কয়েন দিবে। এর মাধ্যমে দেখা যায় প্রথমে আপনাকে ফ্রিতে কয়েন দিবে কিন্তু কয়েন ক্যাশ করতে হলে আপনাকে ডলার ইনভেষ্ট করে আরও কয়েন কিনতে হবে। আবার অনেক সাইটে থাকে রেফার করলেও ফ্রি কয়েন দিবে এভাবে তারা তাদের মার্কেটিং করে। আবার কিছু পিটিসি সাইট এটা নিয়ে MLM ব্যবসার নামে প্রতরনা করে থাক।
বিটকয়েন বিভিন্নভাবে মানুষ প্রতারিত হয়। আজকে আপনাদের সর্তক করব এই বিষয়ে।
ইন্টারনেটে ফিশিং (ইংরেজিতে Phishing) বলতে প্রতারণার মাধ্যমে কারো কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারী নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য – ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। প্রতারকেরা এই পদ্ধতিতে কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট সেজে মানুষের কাছ থেকে তথ্য চুরি করে থাকে। ইমেইল ও ইন্সট্যান্ট মেসেজের মাধ্যমে সাধারণত ফিশিং করা হয়ে থাকে।[১] প্রতারকেরা তাদের শিকারকে কোনোভাবে ধোঁকা দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। ঐ ওয়েবসাইটটি সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর ইমেইল, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের আসল ওয়েবসাইটের চেহারা নকল করে থাকে। ব্যবহারকারীরা সেটাকে আসল সাইট ভেবে নিজের তথ্য প্রদান করলে সেই তথ্য প্রতারকদের হাতে চলে যায়। ফিশিং হলো সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতারণা কৌশলের একটি উদাহরণ। ফিশিং প্রতিরোধের জন্য এখন আইন প্রণয়ন, ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, এবং কারিগরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে।
ফিশিং এর আইডিয়া পেতে আমার করা এই ভিডিওটি দেখুন।
মানসিক ধোঁকা কিছু কিছু মেইল এসে থাকে যেখানে লেখা থাকে “to restore access to your bank account …”.সাধারণ ভাবেই মানুষ এই ধরনের লিঙ্কগুলোতে গিয়ে ক্লিক করে থাকেন।
লিঙ্ক পরিবর্তন: সাধারণত তারা ওয়েবসাইটগুলোর লিঙ্কগুলকে সামান্য পরিবর্তন করে ব্যভার করে থাকে।যা সাধারণ চোখে আমরা ধরতে পারি না।যেমন ধরতে পারি’www.facebook.com’ যদি তারা এই লিঙ্কটাকে সামান্য পরিবর্তন করে লিখে ফেলেন ‘www.faceboook.com’ বা ‘www.facebok.com’ তাহলে সাধারণ ভাবেই মানুষ ধোঁকা খেয়ে যাবেন।
ফোন ফিশিং
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কিছু কিছু কোম্পানি থেকে নাকি ফোন আসে যে তারা সে কোম্পানির কর্মকর্তা বা কর্মচারী তারা তার একাউন্টটা যাচাই করার জন্যে একাউন্ট নাম্বার সাথে তার পিন নাম্বার(এটিএম) চেয়ে থাকেন।এটাও এক ধরনের আক্রমণ।
ফেইক একচেঞ্জ এন্ড ওয়ালেট:
এটা অনেকটা ফিশিং এর মত। এখানে দেখা যাবে যে, সাইটটি এমনভাবে সাজানো যে, একদম প্রফেশনাল সাইটের মত সাইট হবে। বিশেষ অফার এবং ডিপোজিট বোনাস থাকবে। আবার অনেক সময় মোবাইলে এ্যাপস ইনষ্টল করতে বলবে এবং তার থেকে আপনার একাউন্ট ইনফো চুরি করতে পারে।
এ ধরনের ফাদ থেকে বাচতে যে পদক্ষেপ নিতে পারেন:
# জনপ্রিয় একচেঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
# কোন একাউন্ট করার সাথে ডিপোজিট করা যাবে না, কোম্পানী রেজিষ্ট্রার্ড কিনা,ভাল রিভিউ আছে কিনা চেক করতে হবে।
# কোন ব্যাক্তিগত তথ্য দেওয়াতে সর্তক থাকবেন। বিশেষ করে ব্যাংক একাউন্ট ইত্যাদি।
# যে কোন এ্যাপ স্ট্রোর থেকে র্যানডমলি এ্যাপ ইনষ্টল করা সর্তক থাকতে হবে
পুরানো হ্যাকিং এর পদ্ধতি:
আপনাকে মেইল/ফোন/চ্যাট করতে পারে যে আমি অ্যাফিকার রাজা, এখন তোমার দেশে বিনিয়োগ করতে চাই, তোমার একাউন্ট দাও আমি তোমাকে বিট কয়েন পাঠাব। অথবা বিভিন্ন পদ্ধিতি ফলো করে।
আপনি কমনসেন্স ব্যবহার করলে এটা ধরতে পারবেন। আর এই ধরনের অপরিচিত কল বা ইমেল কখনও বিশ্বাস করবেন না।
ফেইক ICOs:
বিটকয়েনের বাজার যেভাবে বাড়ছে তার সাথে সাথে বিভিন্ন প্রতারক কম্পানী বাড়তে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানী ICO এর মাধ্যমে তাদের কয়েন বা টোকেন বিক্রি করে। ২০১৮ এর মাঝামাঝি ১১.৬৯ বিনিয়ন সংগ্রহ হয়ছে। আর এই সুযোগ অনেকেই ফেইক কম্পানী ICOs এর মাধ্যমে কয়েন বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকেদের সাথে প্রতারণা করছে। কেস স্টাডি Pincoin and iFan শুরু করে ২০১৮ সালে । এক্ষেত্রে একটি বাস্তব ঘটনা পড়ুন।
ভিয়েতনাম বেসড কম্পানী। তারা ৩০,০০০ এর উপর গ্রাহকের সাথে চিট করে প্রায় ৬৬০ মিলিয়ন ডলার । iFan এর থাকে সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এবং Pincoin তার বিনিয়োগকারীদের ৪০% মান্থলি রিটার্ন করবে এই প্রমিস করে। এই দুটি কম্পানী মাল্টি লেভেল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ফ্রড করে।
মাইনিং scams: ক্লাউড মাইনিং এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনাকে কোন ফিজিক্যাল হার্ডওয়্যার লাগবে না, আপনি অনলাইনে অল্প খরচে সার্ভার কিনতে পারবেন
এর মাধ্যমে মাইনিং করে ভাল ইনকাম করতে পারবেন। এইরকম সাইটে প্রথমে গ্রাহক বাড়ানোর জন্য ইনকাম দেয়, যখন ওদের গ্রাহক বেড়ে যায় তখনই সাইট বন্ধ করে দেয়। এই ধরনের সাইটে অনেক হিডেন চার্জ থাকে।