আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠলেন মানে আপনার দিনটা শুরু হল ৯৯.৯% লোক থেকে এগিয়ে। যেখানে অন্যেরা ঘুমিয়ে সময় পার করছে সেখানে আপনি পোডাক্টিভ কাজে ব্যায় করছেন। মনে রাখবেন ”আহাড়, নিদ্রা এবং ভয় যত করবেন ততও হয়”
সুতরাং আপনি চাইলেই সকালে আপনি ঘুম থেকে উঠতে পারেন। যেমন আমার মনে আছে, ছোটবেলায় চাঁদ রাতে আমি বা আমরা দেরী করে ঘুমালেও সাকালে ৫ টার সময় ঠিকই ঘুম ভেঙ্গ যেত। আবার দেখবেন আগামিকাল পারিক্ষা আপনি রাত জেগে পড়াশুনা করেছেন এবং আপনি চিন্তা করেন সকালে উঠে পড়তে হবে তাহলে কিন্তু সকালে ঠিকই ঘুম থেকে উঠা যায়। আমরা চেষ্টা করলেই সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি।
দীর্ঘদিন রাত জেগে আউটসোর্সিং কাজের সাথে যুক্ত থাকার কারনে সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস আমার নাই। কিন্তু সেলফ ডেভলপমেন্ট বই মিরাকেল মরনিং পড়তে গিয়ে দেখলাম সকালে ঘুম থেকে উঠা ঘুবই দরকার। একটা ভাল অভ্যাস একদিন হয় না, এজন্য ৩০ দিন প্যাকটিস করতে হয়, তাহলে ত্রিশ দিন পর এটা অভ্যাসে পরিনত হয়। যে কোন ভাল অভ্যাস তৈরী করতে গেলে আপনাকে একটা why Sheet করতে হবে। যখন আপনি ভাল কাজের প্যাকটিস শুরু করবেন তখনই আপনার মন বলবে ধুর আগেই ভাল ছিল, শুধু শুধু সকালে ঘুম থেকে উঠে কি হবে। যখনই আপনার মন এমন বলবে তখনই আপনি why Sheet দেখবেন। আমার নিজের এখন সকালে ঘুম থেকে উঠা দরকার তাই, আমি নিজের জন্য একটা why Sheet তৈরী করলাম। আর মনে হল আমার যারা পাঠক আছে , তাদের সাথে এটা শেয়ার করি এতে হয়ত আমার পাঠকদের উপকার হতে পারে।
কেন আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠবেন?
- সকালে ব্রেন থাকে একটিভ, পড়াশোনা করলে ভাল রেজাল্ট করতে পারবেন।
- সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনি ফজরের নামাজ পড়তে পারবেন। আমার ব্যক্তিগত অবিঞ্জতা থেকে দেখেছি যখন ফজর নামাজ জামাতে পড়া হয়, তখন অন্য অক্ত নামাজ পড়ার চান্স অনেক বেশী থাকে। এজন্য হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যাক্তি ইশা এবং ফজর নামাজ জামায়াতে আদায় করবে সে সারারাত নফল নামাজ পড়ার সমান স্ওয়াব পাবে
- ঢাকা শহরের সকালে রাস্তা খালি থাকি। আপনি কোথায় যেতে চাইলে সকালে নিরিবিলি ফাকা রাস্তাতে যেতে পারবেন। আর না হয় দিনের বেলা ঘন্টার পর ঘন্টা যানযটে বসে থাকতে হবে।
- সকালবেলা নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ন কাজগুলো করে ফেলতে পারবেন।
- আপনি একটা স্বাস্থ্যকর নাস্তা করতে পারবেন
- মেডিটেশন করার পারফেক্ট সময় সকাল বেলা। আপনার পোডাক্টিভিটি বাড়বে
- আপনার মানষিক স্বাস্থ্য ভাল হবে
- শারিরীক ব্যায়ামের জন্য অনেক সময় পাবেন। এত আপনার শরীর ভাল থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
- রাতে ভাল ঘুম হবে
- আপনি সকালে অনেক নিরব সময় পাবেন, যা আপনার নিজের ডেভলপমেন্ট করার জন্য ভাবতে পারবেন।
- আপনার পরিবারকে অনেক সময় দিতে পারবেন।
- আশাবাদি হবেন,আপনার মানুষিক শক্তি বাড়বে।
- ভাল প্লান করতে পারবেন।
- সবসময় প্রোএক্টিভ থাকবেন।
- আপনার আত্মশক্তি বাড়বে।
এছাড়্রা হয়ত কোন গুরুত্বপূন কিছু বাদ পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অব্যশই কমেন্ট করে জানাবেন।